‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শরীকা লাকা লাব্বাইক।’ হাজারও ধর্মপ্রাণ মুসল্লির কণ্ঠে এ ধ্বনিতে আজ মুখরিত হচ্ছে আরাফাত ময়দান। করোনাকালে দ্বিতীয় বছরে এবারও সীমিত পরিসরে হজ পালিত হচ্ছে। অবশ্য গত বছরের চেয়ে এবারে শর্তসাপেক্ষে বেশি সংখ্যক মানুষজনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশের হজ করতে ইচ্ছুক এমন সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি আবেদন অনলাইনে জমা পড়ে। সেখান থেকে লটারির মাধ্যমে ১৫০ দেশের মাত্র ৬০ হাজার মানুষ এবারে হজ করার অনুমতি পেয়েছেন। তবে শর্ত ছিল করোনার দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকতে হবে। গতবারও বিধিনিষেধের মধ্যে এক হাজার মুসলিমকে হজ পালনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে গত শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সোমবার (১৯ জুলাই) সকালে মিনা থেকে তিন হাজার বাসে করে হজযাত্রীদের আরাফার ময়দানে সুশৃঙ্খলভাবে পৌঁছানো হয়েছে। হজযাত্রীরা আরাফার ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করে আল্লাহর কাছে মোনাজাতের মাধ্যমে জীবনের সব গুনাহ মাফ করার জন্য প্রার্থনা করবেন। হাজিরা মসজিদে নামিরা থেকে দেওয়া হজের খুতবা শ্রবণ, যোহর, আসরের এক আজানের দুই ইকামতে কসরের সঙ্গে আদায় করবেন।
তাঁবুতে অবস্থানকারী হাজিরা তাঁবুতে নামাজ আদায় করবেন। আরাফাত ময়দান থেকে সূর্য অস্ত যাবার পর হাজীরা রওনা দেবেন মুজদালিফার উদ্দেশে। মুজদালিফায় পৌঁছে তারা মাগরিব ও এশা একসঙ্গে আদায় করবেন। আরও পড়ুন: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক মুজদালিফার খোলা ময়দানে রাত্রি যাপন করবেন। শয়তানকে নিক্ষেপ করার জন্য সৌদি সরকার পক্ষ থেকে জীবাণুমুক্ত কংকর প্রত্যেক হজযাত্রীকে সরবরাহ করা হবে। এজন্য হাজীদের নিজ উদ্যোগে মুজদালিফা ময়দান থেকে কংকর সংগ্রহ করতে হবে না। ময়দান থেকে আগামীকাল ফজরের নামাজ পড়ে সূর্যোদয়ের পর মিনা পৌঁছে হাজিরা প্রথম দিন বড়ো জামারায় সাতটি কংকর নিক্ষেপ করবেন, পাশাপাশি পশু কোরবানি দিয়ে মাথা মুণ্ডন করে ঈদ আনন্দে মেতে উঠবেন। হাজিরা মিনা-ময়দানে এভাবে তিন দিন অবস্থান করে পর্যায়ক্রমে শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করবেন। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি হচ্ছে হজ। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিমকে অবশ্যই অন্তত একবার হজ পালন করতে হবে। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় এই অনুষ্ঠানে প্রতি বছরই লাখ লাখ মুসল্লি জড়ো হন। এর আগে ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হজে অংশ নিয়েছিলেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারির কারণে গত বছর থেকেই এই চিত্র অনেকটা বদলে গেছে। জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখ এই ছয় দিনেই হজের মূল কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। আজ জিলহজ মাসের ৯ তারিখ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।